Friday, May 2, 2014

ভারতে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ-বাস্তবতা নাকি মিথ্যা ???

বিস্মাল্লাহির রাহমানির রাহিম।


ভারতের (বিজেপি) প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদী, ভারতে কথিত বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ নিয়ে দেয়া বক্তব্য দেখে নাৎসি জার্মানিতে হিটলারের তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী জোসেফ গোয়েবলসের কথা মনে পড়ে গেলো।
গোয়েবলস বলেছিল, 'যদি তুমি মিথ্যা বলো এবং তা বারবার প্রচার করতে থাকো, তাহলে একসময় মানুষ তা বিশ্বাস করবে।'
গোয়েবলসের এই তত্বের ওপর নির্ভর করেই নাৎসি জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথম দিকের সময়টায় মিত্রশক্তিকে রীতিমত নাকানী ছুবানি খাইয়ে ছেড়েছিল। সেই থেকে পৃথিবীর তাবৎ মিথ্যেবাদীরা গোয়েবলসকে তাদের গুরু মেনেছে। গোয়েবলসীয় কায়দায় মিথ্যাকে সবসময় এমন কনফিডেণ্টলি উপস্থাপন করেছে যে সরলপ্রাণ মানুষ তো অবশ্যই অনেক ঝানু চিন্তার লোকও সেই মিথ্যার কাছে মার খেয়ে গেছেন।

 গত কয়েক দশক ধরে ভারতের হিন্দুত্ববাদী নরখাদকেরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে এই গোয়েবলসীয় কায়দায় নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। উগ্র হিন্দুদের এই ধারাবাহিক মুসলিম বিরোধী প্রোপ্যাগান্ডার অংশ হিসেবেই নরেন্দ্র মোদী বলেছে, “ভারতে ঢুকে আসা বাংলাদেশিরা বিছানা, বালিশ গুছিয়ে তৈরি থাকুন। ১৬ মের পর তাদের এদেশ থেকে তাড়ানো হবে।''
শুধু তাই নয় সে বলেছে, ''বাংলাদেশিরা ভারতের অন্য প্রদেশের মানুষের রুজি, রোজগারে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।''

[১] বাহ কি চমৎকার!!! ভাবখানা যেন এমন যে ভারত হচ্ছে ধনে সম্পদে প্রাচুর্যে ভরপুর এমন একখানা দেশ যেখানে বাংলাদেশীরা তাও আবার মুসলমানরা গিয়ে গিয়ে দলে দলে ঢুকছেন আর যারা এখনো ঢুকতে পারেন নাই তারা ঢুকার জন্য মুখিয়ে আছেন!!!
আসল কথা হোল গত কয়েক দশক ধরেই ভারতের হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংঘটন আরএসএস, বিশ্বহিন্দু পরিষদ, শিবসেনা, বজরংদল, দুর্গাবাহিনী, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদসহ উগ্র হিন্দুরা জিগির তুলেছে ভারতে নাকি দু থেকে আড়াই কোটি বাংলাদেশী মুসলমান প্রবেশ করেছেন। এবং শুরু থেকেই ভারতীয় মিডিয়া এইরকম একটা ইস্যুকে ব্যাপক কাভারেজ দিয়ে আসছে।

ভারতের রাজনীতিবিদ, মিডিয়া এবং ইন্টেলেকচুয়ালরা ভারতের সাধারণ জনগণের মাথার মধ্যে এটা ঢুকিয়ে দিয়েছে যে বাংলাদেশীরা ভারতে ঢুকে ভারত সয়লাব করে ফেলবে। ভারতের মানুষের রুটি রুযীতে ভাগ বসাবে। তাই বাংলাদেশী মুসলিমদের না খেদালে নিজেদের অস্তিত্ব টেকানো যাবে না। দুঃখের বিষয় ভারতের সাধারণ জনগণের একটা বিশাল অংশ কোনরূপ যাচাই বাছাই না করেই এই থিওরিটা গলঃধকরণ করেছেন। হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো সাধারণত তাদের আর্গুমেন্টটা মূলত দুটা লজিকের ওপর দাড় করায়- এক-মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ থেকে পরিকল্পিতভাবে মুসলমান ঢোকানো হচ্ছে।

[দুই]-অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য মুসলিমরা ভারতের মাটিতে দলে দলে প্রবেশ করছেন। প্রথম যুক্তিটি যে অবান্তর সেটি বোঝার জন্য কোন ঝানু পাবলিক হওয়ার দরকার নাই কমন সেন্স থাকলেই চলে।
বাংলাদশ থেকে ভারতে মুসলিমদের পরিকল্পিতভাবে ঢোকানর জন্য যে ব্যাকিং দরকার সেরকম কোন পৃষ্ঠপোষকতা এদেশের মুসলমানদের কাছে নাই। বাংলাদেশের কোন সরকার বা গোয়েন্দা সংস্থা কোন কালেই এধরণের কোন পরিকল্পনা হাতে নেয় নাই।

আর রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা ছাড়া এধরণের মাস্টার প্ল্যান কোনভাবেই নেয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া বাংলাদেশে ভারতের সেবাদাস আওয়ামীলীগ ৯৬-২০০১ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল এবং পরবর্তীতে ২০০৯ থেকে এখনো পর্যন্ত ক্ষমতায় আছে। তারা কেন বাংলাদেশীদের ভারত যাওয়া বন্ধ করতে পারলো না এ প্রশ্নটি আসতেই পারে। আর আপনারা যদি পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া বা এখনো ঘটতে থাকা ম্যাস মাইগ্রেশনের দিকে তাকান তাহলে দেখতে পাবেন কোন একটি দেশ থেকে আরেকটি দেশে এরকম গণহারে জনশক্তি স্থানান্তর করতে হলে দুটো বিষয়ের সমন্বয় থাকা চাই।

এক হচ্ছে যে দেশ থেকে ব্যাপকহারে লোকজন মাইগ্রেট করবে সেখানে ওই মাইগ্রেশনের পক্ষে নানা ধরণের প্রচারণা চালাতে হয় যাতে করে মানুষ নতুন ভূখণ্ডে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
এবং দ্বিতীয় ব্যাপারটা হোল যে দেশে লোকজন মাইগ্রেট করবে সে দেশের সরকার এবং জনগণকে অবশ্যই নতুন জনগোষ্ঠীকে গ্রহণ করে নেয়ার ইতিবাচক মানসিকতা রাখতে হবে। এই দুটো বিষয় না মিললে কোন দেশ থেকেই অন্য কোন দেশে ব্যাপক জনশক্তি স্থানান্তর করা সম্ভব নয়। আর এটা প্রমাণিত যে বাংলাদেশে ভারতে যাওয়ার পেছনে সমাজের কোথাও কোন প্রণোদনা দেয়া হয় না অথচ লন্ডন, আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশে এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রতিনিয়ত হাজারো লোক যাচ্ছেন। কারণ ওসবের পেছনে রয়েছে উদ্বুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া।

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সিকিউরিটি, এই ফ্যাক্টরটা এখানে অনেক বড় একটা বিষয়। যে ভারতে মুসলমানদের দিনে দুপুরে সাম্প্রদায়িক দাংগা বাঁধিয়ে নৃশংসভাবে হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যা করা হয় সেই ভারতে মুসলমানরা কেন যাবেন? সবচাইতে মজার ব্যাপার হোল ভারত কিন্তু কখনো একথা বলে না যে ভারতে অবৈধ পাকিস্তানী মুসলমানরা রয়েছেন। অথচ মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এতোই যদি বাইরের দেশ থেকে ভারতে মুসলিম পুশ করতেই হয় তবে পাকিস্তান হত সবচেয়ে সুবিধাজনক।
কারণ ভারত এবং পাকিস্তানীরা একই ভাষায় কথা বলে। হিন্দি এবং উর্দুর মধ্যে কিছু শব্দের পার্থক্য ছাড়া আর কোন পার্থক্য নেই বললেই চলে। এমনকি শ্রুতিকটু হওয়ার কারণে এখন আন অফিশিয়ালি খোদ ভারতেই সংস্কৃত ঘেঁষা হিন্দি শব্দগুলো বাদ দিয়ে আরবি-ফার্সি ঘেঁষা উর্দু ব্যাবহার হচ্ছে। ভারতীয় সিনেমা, মিডিয়া জগত এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে এই প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তাই অতি সহজেই পাকিস্তানী মুসলমানেরা ভারতের মানুষের মধ্যে মিশে যেতে পারতেন।

তাছাড়া এধরণের একটি দুঃসাহসী প্রজেক্ট হাতে নেওয়ার ক্ষমতা এই গোঁটা দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর আছে। অথচ ভারত পাকিস্তানের দিকে ভুলেও আঙুল দেখাচ্ছে না অথচ পাকিস্তানের সাথে ভারতের পর্যন্ত তিনবার যুদ্ধ হয়েছে এবং দেশদুটো সবসময়ই পটেনশিয়াল ওয়্যার এর জন্য তৈরি হয়েই থাকে। তাই ভারতকে দুর্বল করার জন্য যদি মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি করেতেই হয় তবে সেটি নিজ গরজেই পাকিস্তানের করার কথা বাংলাদেশের না। কিন্তু ভারত তার কামান বাংলাদেশের দিকেই দেগে চলেছে।

বাংলাদেশে থেকে ভারতে ম্যাস মাইগ্রেশনের দ্বিতীয় কারণ হিসেবে যে অর্থনৈতিক ফ্যাক্টরে কথা বলা হচ্ছে সেটিও পুরোপুরিই অবাস্তব এবং ভিত্তিহীন। কারণ ভারত পৃথিবীর অন্যতম দরিদ্র একটি দেশ। তাছাড়া দেশটি হাজারো সমস্যায় জর্জরিত।

  • [১]ভারতের শতকরা ৩৭% মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে।
    [২] তবে বেসরকারি হিসেব মতে সেখানকার ৭৭% মানুের জীবনযাত্রা হচ্ছে পোভার্টি লাইনের নিচে।
    [৩] ভারতের ৫৩% পরিবারে টয়লেট নেই। নারী পুরুষ নির্বিশেষে প্রায় ৬০ কোটি লোক খোলা আকাশের নিচে মলমুত্র বিসর্জন দেয়।
    [৪] ভারত থেকে ঘুরে আসা অনেকেই বলেছেন যে সেখানে নাকি মহিলারাও পুরুষদের মত রাস্তার ধারে প্রকাশ্যে টয়লেট সারেন। দেশটিতে ঋণের জালে আবদ্ধ হয়ে এবং সারের অভাবে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৪০০০ কৃষক আত্মহত্যা করেন।
    [৫] ভারতের পশ্চিম বাংলার ২৭% মানুষ মুসলমান হলেও সেখানটায় মুসলমানদের আর্থিক অবস্থা মোদীর গুজরাটের থেকেও করুণ। চাকরী বাকরীতে মুসলমানদের সংখ্যা মাত্র ২%। এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে হলে সাচার কমিটির রিপোর্টটি দেখে নিতে পারেন।
    [৬] তাই বাংলাদেশের মুসলমানদের স্রেফ ভাষার জোরে পশ্চিম বাংলায় গিয়ে বসতি গাড়ারও দূরতম কোন সম্ভাবনা নেই। এখন আপনারাই বলুন কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ কি এটা বিশ্বাস করবে যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ম্যাস মুসলিম মাইগ্রেশন ঘটছে? তারপরও ভারতের উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীরা এই ধরণের বানোয়াট ভুয়া গাঁজাখোরী তথ্য পরিবেশন করে ভারত এবং বাংলাদেশে উভয় দেশের মুসলমানদের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
    অথচ সত্য হচ্ছে বাংলাদেশেই লক্ষ লক্ষ ভারতীয় অবস্থান করছে এবং সরকারী ও বেসরকারী চাকরি বাকরিতে ব্যাপকভাবে ঢুঁকে পড়েছে। এরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রতি বছর ৩৭১৬ মিলিয়ন ডলার ভারতে পাঠায়

    [৭] খোদ ভারতীয় সুত্র বলছে ভারত যেসব দেশ থেকে সবচাইতে বেশী বৈদেশিক রেমিটেন্স অর্জন করে তার মধ্যে বাংলাদেশের স্থান পঞ্চম।
    [৮] এখন বলুন তো ভারতে অবস্থানরত কথিত বাংলাদেশীরা বাংলাদেশে কত টাঁকা পাঠিয়েছে?

তাহলে কে কার দেশে মাইগ্রেশন করে, বাংলাদেশী মুসলিমরা ভারতে নাকি ভারতীয় হিন্দুরা বাংলাদেশে এটা আপনারাই বিচার করুন। ভারতীয় আগ্রাসন থেকে মুক্তির উপায় কি???
যে যাই বলুক, ভারতকে যতই আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র প্রমাণের চেষ্টা করুক বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুও এখন বোঝে যে ভারত বাংলাদেশের শত্রু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সাথে ভারতের আচরণ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি থেকেও খারাপ। তাই বাংলাদেশকেও তার পররাষ্ট্রনীতি এ বিষয়টি মাথায় রেখেই নির্ধারণ করা উচিত ছিল,

অথচ বাংলাদেশের সবগুলো সরকারই আমাদের পররাষ্ট্রনীতি একটি হাস্যকর ভিত্তির ওপর নির্ধারণ করেছে যেখানে বলা হয় 'সবার সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে শত্রুতা নয়।' And this is absolutely nonsense, এটা কখনোই সম্ভব নয়।

কারণ পাগল এবং শিশু ছাড়া সবারই শত্রু থাকে। ভারত বাংলাদেশকে ক্রমশ মরুভূমি বানিয়ে দিচ্ছে, সীমান্তে প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা করছে, প্রতিটি চুক্তি ভঙ্গ করেছে, নিজ ভূখণ্ডে মুসলমানদের হত্যা করে যাচ্ছে এবং শেষমেশ ভারতীয় মুসলমানদের সেখান থেকে বের করে দিতে চাচ্ছে। তো এই ভারত আমাদের বন্ধু হয় কিভাবে???

আওয়ামীলীগ তো অবশ্যই বাংলাদেশে ভারত বিরোধী রাজনীতির ফ্লেবার নিয়ে টিকে থাকা প্রচলিত অন্যান্য দলগুলোর কাছেও এ বিষয়ে কোন সমাধান আশা করাটা বোকামিপূর্ণ দুরাশা। এরা কখনোই ভারতের বিরুদ্ধে কোন স্ট্যান্ড নিতে পারবে না।

কিন্তু মুহাম্মাদ বিন কাসিমকে মনে আছে তো আপনাদের?
কিংবা সুলতান মাহমুদ গজনবী বা মুহাম্মাদ ঘোরি
বা চোদ্দ জন ঘোরসওয়ার নিয়ে বাংলা বিজয় করা সেই ইখতিয়ার উদ্বীন মুহাম্মাদ বখতিয়ার খলজিকে?
জী, আমাদের এইসব সিংহ পুরুষদের পথ ধরতে হবে যারা গোটা ভারতকে ইসলামী শাসনের অধীনে নিয়ে এসেছিলেন। তাছাড়া আমরা মুসলমানরা এই ভারত ১০০০ বছর শাসন করেছিলাম। আমরা যদি জেগে উঠি তাহলে নিশ্চয়ই আবারো ভারত আমাদের করতলগত হবে। এই ভারত মুসলিমদের ভূখণ্ড।

কিন্তু এটি যখনই ব্রাহ্মণ্যবাদী মুশরেকদের হাতে গিয়েছে তখনি এই মুশরেকরা গোটা দক্ষিন এশিয়ার মুসলিমদের জ্বালাতন করেছে। তাই মুশরেকদের জ্বালাতনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ঔশুধ একটাই আর সেটা হোল ভারত বিজয়। সুতরাং গোটা পাক-বাংলা-ভারতের মুসলমানদের উচিত আবারো সেই ইসলামী খিলাফতের উথানের জন্য নিজেদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করা এবং এজন্য প্রচেষ্টা চালানো।

রাসুল(স) বলেছেন, ''আল্লাহ আমার জন্য পৃথিবীকে সংকুচিত করেন, তখন আমি পৃথিবীর পূর্ব এবং পশ্চিম দেখলাম। আর পৃথিবীর যতটুকু আমার জন্য সংকুচিত করা হয়েছিলো তার তাবৎ স্থানে আমার উম্মাতের রাজত্ব পৌঁছুবে।''
(মুসলিম, আস-সহী ৪/২২১৫)


আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু’আনহু) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ মুহাম্মাদ ﷺ আমাকে বলেছেন যে,
“এই উম্মাহর মধ্যে একটি দল সিন্ধ এবং হিন্দ এর দিকে অগ্রসর হবে।”
হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু’আনহু) বলেন,
“আমি যদি এই অভিযানে শরীক হতে পারতাম এবং শহীদ হতে পারতাম তাহলে উত্তম হত; আর যদি আমি গাজী হয়ে ফিরে আসতাম তবে আমি একজন মুক্ত আবু হুরায়রা হতাম, যাকে সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিতেন।”
(সুনানে নাসায়ী, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪২)


রাসুল(স) আরো বলেছেন, '', “অবশ্যই আমাদের একটি দল হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন, আর তারা রাজাদের শিকল/বেড়ি দিয়ে টেনে আনবে এবং আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন (এই বরকতময় যুদ্ধের দরুন)
এবং সে মুসলিমেরা ফিরে আসবে তারা ঈসা ইবনে মারিয়াম (আলাইহি’ওয়াসাল্লাম) কে শামে (সিরিয়া) পাবে।”

[ইমাম বুখারীর উস্তাদ নাঈম ইবন হাম্মাদ রাহিমাহুল্লাহআল তার আল ফিতান গ্রন্থে হাদিসখানা বর্ণনা করেছেন]

অতএব ভারতের মত একটা ডিস্টার্বিং এনটিটির সাথে টেবিল টকের চিন্তা বাদ দিয়ে বরং মুসলমানদের উচিত ভারতকে আবারো ইসলামী খিলাফত শাসন বেবস্থার অধীনে নিয়ে আসার জন্য নিজেদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করা এবং সেই সাথে তার জন্য প্রয়োজনীয় সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা। ইনশাল্লাহ আল্লাহর(সূওতা) ইচ্ছায় এবং মুমিনদের ইখলাসপূর্ণ কাজের বরকতে আবারো গোটা হিন্দ(পাক-বাংলা-ভারত) ইসলামী শাসনের অধীনে ফিরে আসবে।












link;;
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------

১/http://www.ndtv.com/elections/article/election-2014/come-may-16-bangladeshi-immigrants-must-pack-up-narendra-modi-514883
২/http://www.indiatribune.com/index.php?option=com_content&view=article&id=2256%3Aits-official-37-live-below-poverty-line&catid=123%3Abusiness&Itemid=489
৩/http://www.bbc.com/news/world-asia-india-17455646
৪/http://www.kalerkantho.com/print-edition/deshe-deshe/2013/11/20/22947
৫/http://bangla.irib.ir/2010-04-21-08-29-09/2010-04-21-08-29-54/item/33459-ভারতে-বছরে-১৪-হাজারের-বেশি-কৃষক-আত্মহত্যা-করেন
৬/http://ncm.nic.in/pdf/compilation.pdf
৭/http://mzamin.com/details.php?mzamin=MTI2Njk%3D&s=Mg%3D%3D
৮/http://www.siliconindia.com/news/business/15-Nations-Sending-Highest-Remittances-to-India-nid-147515-cid-3.html