Tuesday, April 22, 2014

ইমাম মাহদি ও আগমনপূর্ব আলামতসমূহ: ( কেয়ামতের আলামত )


ইমাম মাহদি ও আগমনপূর্ব আলামতসমূহ: ( কেয়ামতের  আলামত )
মুনাফিকও কুরআন পড়বে


আলহামদুলিল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহি নাহনাদুহু ওয়ানাস্তা ইনুহু ওয়ানাস্তাগফিরুহু ওয়ানা'উজুবিল্লাহিমিন সুরুরি আনফুচিনা ওয়ামিন চাই'ইয়াতি আ'মালিনা, মাইঈয়াহদিহিল্লাহু ফালা মুদিল্লালাহ ওয়ামাই উদিলিলহু ফালা হাদিয়ালাহ। ওয়াশহাদুয়াল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শরীকালাহু ওয়ানাশাহাদুয়ান্না মুহাম্মাদান আবদুহু রাসুলু। আম্মা বাদ আউজুবিল্লা হিমিনাশশাইতনির রাজিম
.
বিসমিল্লাহির  রাহমানির  রাহিম .


       ম,হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“আমার উম্মতের জীবনে এমন একটি যুগ আসবে, তখন (কুরআনের) পাঠ বেড়ে যাবে, দীন বুঝবার মতো মানুষ কম হবে, ইলম তুলে নেওয়া হবে এবং হারজ বেশি হবে”

জিজ্ঞাসা করা হল, ‘হারজ’ কি ইয়া রাসুলাল্লাহ!

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘হারজ হল পারস্পরিক খুনাখুনি।

তারপর এমন একটি সময় আসবে, যখন মানুষ কুরআন পাঠ করবে; কিন্তু কুরআন তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করবে না।

যখন মুনাফিক (মুসলিম নামধারী দ্বিমুখী),
কাফির (আল্লাহর দ্বীন অস্বীকারকারী) ও মুশরিকরা (মূর্তিপূজারীরা)
মুমিনদের সঙ্গে (ধর্ম বিষয়ে) বিবাদে লিপ্ত হবে”।
(আল মুসতাদরাক, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫০৪)

আমাদের এই যুগটিই সেই যুগ। এ যুগে নানা জাগতিক বিদ্যার বিশেষজ্ঞের অভাব নেই। মানুষ এক একজন এক এক বিদ্যায় পারদর্শিতা অর্জন করছে। মাস্টার ডিগ্রী ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করছে।
কিন্তু দ্বীনের বিদ্যায় বিদ্বান মানুষের সংখ্যা কম – একেবারেই নগণ্য। কুরআন হাদীস তথা ইসলাম বুঝবার মতো মানুষ খুবই অল্প। জাগতিক বিদ্যার সাগর তো অনেকই চোখে পড়ছে; কিন্তু দ্বীনি ইলমের অধিকারী মুসলমান খুঁজে পাওয়া বড়ই কঠিন।

এদিকে মানুষের আগ্রহ একেবারেই কম। মুনাফিক ও কাফির মুশরিকরা কুরআনের বিভিন্ন আয়াতকে অবলম্বন করে, অস্ত্র বানিয়ে সত্যের অনুসারীদের সঙ্গে ত্রক-বিবাদে লিপ্ত হচ্ছে এবং নিজের ভ্রান্তধারাকে কুরআন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে।

হযরত আবু আমির আশআ’রি (রাঃ) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“ আমি যে কটা ব্যাপারে আমার উম্মতের জন্য আশংকা অনুভব করছি, তার মধ্যে বেশি আশংকাজনক বিষয়টি হল, তারা বিপুল ধন সম্পদের মালিক হয়ে যাবে, যার ফলে তারা একে অপরকে হিংসা করবে এবং আপসে সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে।
আর তাদের জন্য কুরআন পড়া সহজ হয়ে যাবে। ফলে সৎকর্মপরায়ণ, পাপিষ্ঠ ও মুনাফিক সবাই কুরআন পড়বে। তারা সমাজে ফিতনা বিস্তার ও অপব্যাখ্যা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কুরআনের সূত্রে মুমিনদের সাথে তর্ক বিবাদে লিপ্ত হবে।
অথচ কুরআনে এমন কিছু আয়াত আছে, যেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। পক্ষান্তরে যারা গভীর জ্ঞানের অধিকারী, তারা বলবে, আমরা এই কুরআনের উপর পুরোপুরি ঈমান রাখি”।

(আল আহাদীসুল মাছানী খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৪৫৩)

সম্পদের আধিক্য এযুগে একটি ব্যাপক বিষয়। আরবদেশগুলোতে সম্পদের বন্যা বইছে, যার ফলে যতসব ফিতনা ও অনাচার জন্ম নিচ্ছে।

কুরআন পড়া এত সহজ হয়ে গেছে যে, আজকাল পবিত্র কুরআন ইংরেজী এবং বাংলা উচ্চারণে পড়া যাচ্ছে। ফলে কারও যদি সরাসরি আরবি বর্ণে কুরআন পাঠ করার যোগ্যতা নাও থাকে, সে ইচ্ছে করলে ইংরেজি বা বাংলায় কুরআন পড়তে পারছে।
ইদানিং ‘উচ্চারন কুরআনে’র রমরমা ব্যবসাও গড়ে উঠেছে। ফলে আজকাল ফাসিক-মুনাফিকদেরও কুরআন পড়তে দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, কোন রকম যোগ্যতা ছাড়াই কুরআন বিষয়ে মতামত প্রদাণ করছে।

তুরস্ক, মিসর, তিউনিসিয়া ও আমিরাতের পর এখন আমাদের দেশেও সেইসব লোক কুরআনের তাফসীর করছে, যাদের ইসলাম বিষয়ে বিন্দুমাত্র জ্ঞান নেই। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলগুলো একদিকে ফিল্ম ড্রামার কাজ করে জাতিকে অশ্লীলতা ও চরিত্রহীনতার পাঠ শেখাচ্ছে, অপরদিকে সেসব আয়াতে মতামত প্রদান করছে, যেগুলোর জ্ঞান আল্লাহ নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন।

নিছে একজন মুনাফিকের সাম্প্রতিক সময়ের পরিস্থিতি নিয়ে লেখা একটা ব্যাখ্যা দেয়া হল।

(বি; দ্র; উনি একজন মুক্তমনা)

তাই মন্তব্য চাই।

...................
...................... প্রতিটি শিশুর সত্যিকারের অভিভাবক আসলে রাষ্ট্র।
ইচ্ছা করলেই বাবা-মা নিজের সন্তানের উপর যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন না। আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এরকমই ভাবা হয়।
কিন্তু আমাদের মত দেশে রাষ্ট্র তার ভবিষ্যত নাগরিকদের প্রতি কর্তব্যগুলো পালন দূরে থাক তার অনিষ্ঠ করার জন্যই সর্বদা নিবিষ্ট।
কওমির মত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রাখাই হচ্ছে অনিষ্ঠের সবচেয়ে বড় উদাহরণ।

আমাদের দেশে তিন-চার রকম শিক্ষা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ধনী, মধ্যবিত্ত আর দরিদ্র শ্রেণীর জন্য তিন রকম শিক্ষা ব্যবস্থা। আমরা একমুখি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে গিয়েও পরিনি।
ধর্মীয় শিক্ষার নামে কতগুলো সুরা মুখস্ত করে পার্থিব জীবনে যে চলা যায় না এই সহজ কথাটাই এদেশে বলা প্রায় নিষিদ্ধ।

যারা বলতে যাবেন তারা নাস্তিক, ইসলাম বিদ্বেষী, ইহুদীনাসারাদের মিশনারীদের প্রচারণা ইত্যাদি বলে থামিয়ে দেয়া হয়। অধুনা মডারেট মুসলিম নামক যে চিড়িয়াটির জন্ম হয়েছে যে নিজের সন্তানকে ইংলিশ মাধ্যমসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়িয়ে কওমি মাদ্রাসার জন্য মরাকান্না কাঁদেন। এই মডারেট মুসলিম চিড়িয়াটিই দিনকে দিন আমাদের সমস্ত প্রগতিশীলতার পথের বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

এরা শফির চেয়ে প্রতিক্রিয়াশীল। নিজেরা জাকির নায়েকের মত ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে, নিজের মেয়েকে মেডিকেল কি বুয়েটে পড়িয়ে শফির মত একটা মধ্যযুগের প্রেত্মাকে পরক্ষভাবে সমর্থনই জানায়। মেয়েদের চার ক্লাশ পড়াই যথেষ্ঠ বলে শফি মনে করে।

মেয়েরা কর্মক্ষেত্রে গেলেই পর পুরুষের সঙ্গে সেক্স করবে, মেয়ে দেখলেই সাচ্চা পুরুষের লালা ঝরবে বলেও যে এ দেশে সন্মানিত থাকতে পারে তাতেই প্রমাণ হয় গুটি কয়েক নাস্তিক মুক্তমনা ছাড়া শফির ইমেজ এতটুকু চিড় ধরেনি।

আমরা কওমির হাজার হাজার শিশুকে আমাদের হিসেবের বাইরে রাখতে পারি না। এই দরিদ্র পরিবার থেকে আসা শিশুগুলো কওমি মাদ্রাসায় থাকা-খাওয়া ফ্রি পায়। আমার এমন কোন ব্যবস্থা করতে পারিনি যেখানে এই দরিদ্র শ্রেণীর থেকে আসা শিশুগুলোকে অনুরূপ কোন ব্যবস্থা করে দিতে পারিনি।

বরং ব্যবসার জন্য পাড়ায় পাড়ায় গড়ে তুলেছি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের নামের ট্যাশ ফিরিঙ্গি তৈরি কারখানা। আমাদের প্রাথমিক স্কুলগুলোর বেহাল অবস্থা। বিনা বেতনের হলেও শিক্ষকরা নানা উছিলায় টাকা-পয়সা আদায় করে নেয়। সেখানে কওমিতে পরলে থাকা খাওয়া ফ্রি।

সরকার বাহাদুর যখন আবার সনদের স্বীকৃতি দিবে বলছে তাতে এই শিক্ষা ব্যবস্থায় জোয়ার বইয়ে যাবে নিঃসন্দেহে। ৩৫ কোটি টাকার সম্পত্তি সরকার কওমিদের সর্দার শফি-বাবুনাগরীদের দিয়েছে ব্যাপকভাবে যাতে “আমরা সবাই তালেবান বাংলা হবে আফগান” উৎপাদন হতে পারে।

এই সনদ প্রদানের মাধ্যমে এটাও পরিস্কার করে দেয়া হবে যে নাগরিক চাইলে যে কোন এটা শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই চলবে। বাংলা, ইংরেজ ও আলীয়া মাদ্রাসায় শিক্ষিতরা যে কোন অফিস-আদালতে নিজের যোগ্যতায় চাকরি-বাকরি জুটিয়ে নিতে পারে। আলীয়া মাদ্রাসার পাঠ্যক্রম থাকার পরও কওমি মাদ্রাসা আসলে হাত পেতে খাওয়া মোল্লা উৎপাদন ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না।

পুরো কোরআন শরীফ মুখস্ত করে পার্থিব জীবনের কোন ফয়দা নেই। একজন মোল্লা-পুরোহিত পার্থিব জীবনে আসলেই অপ্রয়োজনীয়। ইসলামে যেহেতু পুরোহিত প্রথা নেই সেখানে মোল্লা উৎপাদনও প্রয়োজন নেই। আজকের যে জোব্বাধারী আর পাগরীধারী পেশাজিবি ইমাম দেখি ইসলামে সেরকম কোন রীতি নেই।

যে কোন অভিজ্ঞ কোরআন হাদিস জানা সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিই নামাজে ইমামমতি করতে পারেন। জানাজার নামাজও কোন বিশেষ ইমামের প্রয়োজন নেই। এসব ধর্মীয় শিক্ষার জন্য বিশষ কোন বিদ্যালয়েরও প্রয়োজন নেই।
হযরত মুহাম্মদ কোন স্কুল স্থাপন করেছেন এমন নজির নেই। হাফেজ-ক্বারি-আল্লামা তৈরির কোন প্রতিষ্ঠান যেখানে পুরো শিক্ষা জীবন কাটাতে হবে এটা পার্থিব জীবনে পুরোপুরি আত্মঘাতি। কারণ এই শিক্ষায় রুটি-রুজির কোন পথ বাতলে দেয় না। আমি এমন অনেক মানুষকে চিনি যারা সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা শিক্ষিত হয়েও পরে ব্যক্তিগত আগ্রহে আলেম হয়েছেন।

ধর্মীয় শিক্ষালয় জিনিসটা বাস্তব জীবনে এ জন্যই অপ্রয়োজনীয়।
এই পৃথিবীতে একটা বাড়ি তৈরি করতে একজন ইঞ্জিনিয়ার লাগে।
চিকিৎসার জন্য একজন ডাক্তার।
নিদেন পক্ষে একচালা একটা ঘর করার জন্য ঘরামী।
চাষের জন্য কৃষক। একজন ইমামের কোন প্রয়োজন আছে কি?

দশ-বারো জনের একটা দল নামাজ পড়ার জন্য সবচেয়ে মান্য ও বেশি জানা লোকই ইমামতি করতে পারে। তার জন্য শফি-বাবুনাগরী হওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ছাপাখানার যুগে আস্ত কোরআন মুখস্ত রাখারও কোন যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে না।

তারাবীর মত নামাজ আদায়ের জন্য হাজার হাজার হাফেজ উৎপাদন মানেই হচ্ছে কতগুলো মানুষের জীবনটা নষ্ট করে দেয়া। এই মুখস্ত তোতা পাখিরা পার্থিব জীবনে শিক্ষাহীনতার অভিশাপে মিলাদ পড়িয়ে দু’পয়সা হাত পেতে নিতে বাধ্য হবে।

পুরো আস্ত কোরআন মুখস্ত করা আসলে নাই কাজ তো খই ভাজের মত। কোরআন সংকলনের ইতিহাসেও দেখা যায় পুরো কোরআন মুখস্ত করা কোন হাফেজ নেই। থাকবে কিভাবে, তখন পর্যন্ত আস্ত একটা কোরআন বই আকারে লিপিবদ্ধ হয়নি।

সেটা হয় হযরত ওসমানের আমলে। নবী তখন ইন্তেকাল করেছেন।

আস্ত কোরআন মুখস্ত করা ‘গবেট হাফেজের’ আইডিয়া যে অনেক পরের এতেই বুঝা যায়। পুরো কওমি শিক্ষা ব্যবস্থাটাই আত্মঘাতি।

মোল্লা উৎপাদন আমরা অব্যাহত রাখবো না বন্ধ করবো তা আমাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু যেখানে রাষ্ট্রের সম্পদ ভবিষ্যত নাগরিকদের জীবন জড়িত সেখানে রাষ্ট্র তাদের অন্ধকূপে ফেলার কাজে সহযোগিতা করতে পারে না। কওমি সনদ ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি দানের মাধ্যমে রাষ্ট্র সেই অন্ধকূপকেই সমর্থন জানালো। এর মাধ্যমে মোল্লাতন্ত্রকে শক্তিশালী করা হলো।

যারা ফতোয়া দেয়ার মাধ্যমে ভবিষ্যতে দেশে ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। ফতোয়ার বহর ও নমুনা আমরা এখনি দেখতে পাচ্ছি। শফি বলেছে নাস্তিকদের কতল করা এখন ওয়াজিব হয়ে গেছে।

অচিরেই তাই কোন মুক্তচিন্তার মানুষকে (বিশেষত মুক্তচিন্তার লেখকদের) আমরা কোন হাফেজ-ক্বারি-মাওলানা বা প্রাইভেট ইউনির্ভাসিতে পরা জঙ্গি মুমিনের হাতে প্রাণ হারাতে দেখবো।

মডারেটর মুসলিমরা তখন বলবে, পাতি নাস্তিকগুলি ইন্টারনেটে অহেতুক ইসলামকে গালি দিয়ে ‘অশিক্ষিত’ মুসলিমনামধারীদের উস্কে দিয়েছে। এই পাতি নাস্তিকগুলিই সব নষ্টের গোঁড়া। ইসলাম হচ্ছে মহান শান্তির ধর্ম...।

আমার শুধু কষ্ট হচ্ছে কওমির কমলমতি শিশুগুলোর জন্য। ওদের জন্য আমরা কিছুই করতে পারছি না। ওরা যদি কোনদিন আমাকে চাপাতী নিয়ে আঘাত করতে উদ্যত হয়, আমি ওদের কতটুকু দোষী করতে পারবো? আমরা ওদের জন্য কি করেছি...?

No comments: